গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

দেশের গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধারে’ যুক্তরাষ্ট্র সফররত গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে দেশের সাধারন মানুষের পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই দেশে হারানো গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়লসটন হলে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন রেজা কিবরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

দেশের গণতন্ত্র 'পুনরুদ্ধারে' যুক্তরাষ্ট্র সফররত গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে দেশের সাধারন মানুষের পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই দেশে হারানো গণতন্ত্র ফিরে আসবে।

স্থানীয় সময় গত শনিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়লসটন হলে 'বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চ্যালেঞ্জ ও উপায়' শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন রেজা কিবরিয়া।

সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স অফ নর্থ আমেরিকা।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, 'দেশে বর্তমান সরকারের দুর্নীতি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অতীতে কোনো সরকারের আমলেই এত পরিমাণে দুর্নীতি হয়নি।'

সেমিনারে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, 'বিনা পরীক্ষায় বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা যেমন জিপিএ-৫ পাচ্ছেন, ঠিক তেমনি বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে এমপি ও মন্ত্রীরা এখন গণতন্ত্র চর্চা করছেন। দেশে এখন আর কোন গণতন্ত্র নেই। দেশের গণতন্ত্র ফেরাতে হলে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন দিতে হবে।'

এজন্য দেশের সাধারন মানুষের পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভূমিকা রাখার আহবান জানান রেজা কিবরিয়া। পাশাপাশি মার্কিন রাজনীতিবিদদের কাছে দেশের রাজনীতির বিদ্যমান পরিস্থিতি তুলে ধরার তাগিদও দেন তিনি।

রেজা কিবরিয়ার বাবা শাহ এ এম এস কিবরিয়া ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ ৫ জন নিহত হন।

১৪ বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমার বাবার হত্যাকাণ্ডে অনেকেই জড়িত। কিছু লোক টাকার বিনিময়ে কাজ করেছে, কিছু লোক রাজনৈতিক কারণে কাজ করেছে। একটি দল থেকে যে এটা হয়েছে, তা আমি মনে করি না।'

আজাদ খানের সঞ্চালনায় এই সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রোগ্রেসিভ এলায়েন্স অফ নর্থ আমেরিকার সাধারণ সম্পাদক তানভির নেওয়াজ।

Comments