কলকাতায় মুখোমুখি শাকিব-চঞ্চল

‘অনেকেই ভাবতে পারেন শাকিব খান ও আমার পরিচয় কিংবা চেনা-জানা নেই। আমাদের মধ্যে সেটা আছে। সুন্দর একটা সম্পর্কও আছে। দুজনের দেখা যেমন হয়, আড্ডাও হয়।’
শাকিব খান ও চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মতো কলকাতায়ও শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই রায়হান রাফীর নতুন সিনেমা 'তুফান'র শুটিং চলছে সেখানে। আর এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছেন শাকিব খান ও চঞ্চল চৌধুরী।

শাকিব খান আরও কয়েকদিন আগে থেকেই শুটিং শুরু করলেও চঞ্চল চৌধুরী শুরু করেছেন ২৫ এপ্রিল থেকে। দুজনে বেশকিছু দৃশ্যে একসঙ্গে শুটিং করেছেন।

কলকাতা থেকে মুঠোফোনে চঞ্চল চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অনেক গরম এখানে। ভয়াবহ গরমের মধ্যেই তুফান সিনেমার শুটিং করছি।'

ক্যামেরার সামনে শাকিব খানের মুখোমুখি হয়েছেন কী? এ প্রশ্নের জবাবে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'হয়েছি। শাকিব খান ও আমি একসঙ্গে শুটিং করেছি।'

ঢালিউডের সুপারস্টারের সঙ্গে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'অভিজ্ঞতা ভালো। অনেক ভালো লাগছে। অন্যরকম একটা সুখকর অনুভূতি তো আছেই। এককথায় বলব, ভালো লাগছে।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'শুধু টেকনিক্যাল সাপোর্ট এখান থেকে নেওয়া হয়েছে, বাকি সব তো আমরাই। পরিচালক বাংলাদেশের, ক্যামেরাম্যান বাংলাদেশের, আরও অনেকেই আমরা দেশের।'

তুফান সিনেমা নিয়ে প্রত্যাশা জানতে চাইলে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'সবে শুটিং শুরু করলাম। রায়হান রাফীর একটা আলাদা ইমেজ আছে। ভালো ভালো সিনেমা উপহার দিয়েছেন। শাকিব খান দুই বাংলার দর্শকপ্রিয় নায়ক। আমিও ভালো ভালো কাজ করে দর্শকদের কাছাকাছি আছি। সবমিলিয়ে প্রত্যাশা অনেক।'

সম্প্রতি আমেরিকায় গিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। সেখানে সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন এবং 'হাওয়া' সিনেমার জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন। তিনদিন আগে আমেরিকা থেকে কিছুক্ষণের জন্য দেশে ফিরেই উড়াল দিয়েছেন কলকাতায়।

গত ঈদুল ফিতরে তার অভিনীত 'মনোগামী' ও 'রুমী' ওয়েবফিল্ম মুক্তি পেয়েছে। দুটি কাজ দিয়েই প্রশংসা কুড়িয়েছেন দর্শকদের কাছ থেকে।

'মনপুরা', 'দেবী', 'আয়নাবাজি', 'হাওয়া'খ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী সহশিল্পী শাকিব খান সম্পর্কে আরও বলেন, 'অনেকেই ভাবতে পারেন শাকিব খান ও আমার পরিচয় কিংবা চেনা-জানা নেই। আমাদের মধ্যে সেটা আছে। সুন্দর একটা সম্পর্কও আছে। দুজনের দেখা যেমন হয়, আড্ডাও হয়।'

সবশেষে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'আমরা সবাই চাই সিনেমা হলে আগের মতো দর্শকরা ফিরে আসুক। ভালো ভালো সিনেমা যেমন নির্মাণ হচ্ছে, দর্শকরাও হলমুখি হচ্ছেন। এই ধারাটা অব্যাহত থাকুক। সেইসঙ্গে হলের সংখ্যাটা বাড়ুক।'

Comments